[ad_1]
শিরোনাম দেখে অবিশ্বাস্য হলেও সত্য। আধুনিক নামধারী এই সমাজেরই
ঘটনা। নিজে জন্ম দেয়ার পর তাদের ২০ বছর ধরে ধর্ষণ করে আসছেন পিতা।
ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের রাজস্থানে। পিতার লালসার শিকার দুই বোন মুখ
খোলায় বের হয়েছে পিতার কু-কৃত্তি। আর দিব্যি পিতার এই অনাচারে
সমর্থন যুগিয়ে গেছেন মা।
মঙ্গলবার স্বামীদের নিয়ে থানায় গিয়ে পিতার বিরুদ্ধে ধর্ষণের
অভিযোগ দায়ের করেন দুই বোন। আর নিজেদের ওপর এই লালসার কোনো জবাব
দুই বোন না দিলেও এবার আর ছাড় দেননি, যখন তাদের তিন বছর বয়সী
সন্তানকে (নাতনী) দিয়ে একই লালসা চরিতার্থ করতে যান ওই সরকারি
কর্মকর্তা।
ভরতপুরের বাসিন্দা ওই দুই নারী অভিযোগ করেন, ‘সরকারি চাকরি থেকে
বর্তমানে অবসরে থাকা ৬২ বছর বয়সী পিতা কৈশোরের শুরু থেকেই তাদের
ধর্ষণ করে এসেছেন।’
তারা তাদের মায়ের বিরুদ্ধেও অভিযোগ করেন। তারা বলেন, ‘তাদের মা
বিষয়টি জানার পরও কোনো প্রতিবাদ করেননি। স্বামীর অপরাধের বিরুদ্ধে
তিনি মুখ খোলেননি।’
পাঁচ কন্যার জনক ওই পিতা এবং তার স্ত্রী উভয়কেই গ্রেপ্তার করেছে
পুলিশ। ধর্ষিতা ওই দুই কন্যা তাদের পিতা-মাতা উভয়েরই শাস্তি দাবি
করেছেন।
ওই দুই নারী আরো জানান, ‘পিতার ধর্ষণের ফলে তাদের কয়েকবার
গর্ভপাতও ঘটাতে হয়েছে।’ দুবোনের বড় জন জানান, ‘এমনকি তার বিয়ের
মাত্র ১০ দিন আগেও তাকে গর্ভপাত করতে হয়েছে, পিতার কারণে।’
ভরতপুরের পুলিশ পরিদর্শক আংশুমান ভুমিয়া জানান, ‘ওই পিতা তার
কন্যাদের প্রথমে পর্নো ছবি দেখাতেন। এরপর তাদের ধর্ষণ করতেন। তিনি
তাদের এই বলে ভয় দেখাতেন, যদি তারা বাধা দেয় তাহলে তাদের ছোট দুই
বোনের উপরও একই নির্যাতন চালাবেন তিনি।’
পুলিশের এই কর্তা আরো বলেন, ‘তারা সপ্তম-অষ্টম শ্রেণিতে পড়ার সময়
থেকেই পিতার এই লালসা মিটিয়ে এসেছেন। তাদের মা তাদের পিতার এ
অপরাধের কথা জানতে পেরেও কোনো প্রতিবাদ করেননি বরং উল্টো ধর্ষক
স্বামীর পক্ষ নেন।’
আর এই ঘটনা ফাঁস হয়ে যাওয়ার পর ওই ধর্ষক পিতা তার অন্য তিন
কন্যাকেও ধর্ষণ করেছেন কিনা তা এখন খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
[ad_2]